দামোদর কে?
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরেক নাম দামোদর। দাম শব্দের অর্থ রশি এবং উদর হচ্ছে কোমর। মা যশোদা কর্তৃক যাঁর উদরে দাম বা রশি বন্ধন রয়েছে, তিনিই দামোদর। এই ব্রত পালন করতে হলে কি কি বর্জনীয় জেনে নিন?
======জয় দামোদর ব্রত=====
ধর্মাত্মা ব্যক্তি দামোদর=কার্তিক=মাসে মৎস=মাংস ভক্ষন করবে না=রাজমাষ=বরবটি=শিম=কমলী শাক= পটল=বেগুন=মাছ মাংস এসব বর্জন করিবেন?
===============================
আর যারা ১মাস হবিষ্যান্ন করবেন তারা শ্রীশ্রী হরিভক্তিবিলাসে ১৩ অধ্যায়ের ১০-১৩ নং শ্লোকে হবিষ্যান্নের উপাদান উল্লেখ্য করা হয়েছে যে=নিম্নোক্ত উপাদানগুলো হবিষ্যান্ন তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে আতপ চাল=ঘী=কাওন=শ্যামা চাল=সৈন্ধব লবণ= ননীপূর্ণ গোদুগ্ধ=পাকা কলা=কাচা কলা এসব আর কাচা পাকা পেপে=আলু,মরিচ এসব পেতে পারবেন।গম=ফল কিন্তু ফলটা==স্কন্ধপুরাণের নাগরখন্ডে অবশ্যই কম বীজ পূর্ণ ফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে== হবিষ্যান্ন বর্জনীয় যেসব দ্রবগুলো=মুগ ডাল=তিল তেল=বেতো শাক=সাত্ত্বিক শাক মুলা=জিরা ও তেঁতুল!
===================================
দিনে ২বার সূর্য উদয়ের আগে হবিষ্যান্ন গ্রহণ করতে হবে।শরীরে তৈল সাবান কসমেটিকস ইত্যাদি ব্যবহার নিষেধ=এসব ব্যবহার না করলে এই একমাস তাহলে অন্তিমে পড় চিন্ময় দেহ প্রাপ্ত হবো।রাতে ফল দুধ কলা কাচাবাদাম ভাজা=এসব পেতে পারবেন=
==================================
প্রত্যকটা মাসের মধ্যে এই কার্তিক দামোদর মাসটা ভগবানের অতি প্রিয় মাস।সব মাসে যা করেন সমস্যা নাই=কিন্তু এই মাসে এই ব্রত পালন না করলে কেউ তাহলে তার মুক্তির আর কোন পথ নাই নরকযন্ত্রণা ভোগ করবে অনন্ত্যককাল।
===============================
দামোদর মাস বা কার্ত্তিক মাস করলে কি হয়?
এই দামোদর মাস কৃষ্ণভক্তের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ মাস।কৃষ্ণভক্তেরকরণীয় কিছু নিয়ম ও এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে দেওয়া হল।কার্তিক মাস সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ত্যাগের মাস বা দামোদর মাস।কার্ত্তিক মাস শ্রীহরির সেবার মাস=কার্তিক মাস বা দামোদর মাস=
=====================================
ভক্তগণের কাছে অতীব মাহাত্ম্যপূর্ণ একটি মাস।কেননা এই মাসে হরিভক্তির অনুকূল যে কোন কার্যই সহস্রগুণ অধিক ফলদান করে।ভক্তিভরে স্বল্প পরিমাণ ভগবদ্ সেবা সম্পাদন করলেও ভগবান শ্রীহরি অতিশয় প্রীত হন।বিশেষ করে কার্তিক মাসের অন্যতম একটি ভগবৎ সেবা হচ্ছে ভগবানের মন্দিরে বা গৃহমন্দিরে ভগবানের উদ্দেশ্যে দীপদান।এই সম্বন্ধে বিভিন্ন শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে=এই মাসে শ্রীহরি মন্দিরে দীপ দান করলে তাকে আর এই জন্ম মৃত্যুময় জগতে ফিরে আসতে হয় না।
====================================
শ্রীহরি=ভক্তিবিলাস গ্রন্থের ১৬শ বিলাস অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে=কার্তিক মাসে দেবালয়ে ভক্তিভাবে দীপদান=অখন্ড দীপাবলীর আয়োজন=বাড়িতে বাড়িতে দীপমালা সজ্জা ও আকাশ প্রদীপ দান করলে ভগবান শ্রীহরি প্রীতিলাভ করেন।নিয়ম সেবার কাল ও অক্ষয় পূণ্য অর্জনের মাস=এ মাসে সকলেরই নিরামিষ ভোজন করা উচিত=প্রতিদিন ভাগবতের প্রথম স্কন্ধের দামবন্ধন লীলী পাঠ করা উচিত=দিনের বেলা ভোগরাগ=প্রসাদ গ্রহণ করা উচিত=
====================================
স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে।
অব্রতেন ক্ষিপেদ যন্ত মাসং দামোদর প্রিয়ম। তির্যগমোনীমবাপ্ লোতি সর্ব ধর্ম বহিস্কৃতঃ।
স ব্রহ্মহ স গোঘ্নশ্চ স্বর্ণস্তেয়ী সদানুতী।
নকরোতি মুণিশ্রেষ্ঠ যো নঃ কার্ত্তিকে ব্রতম।
অর্থাৎ==হে মুণিশ্রেষ্ঠ নারদ=ভগবান শ্রী দামোদরের প্রিয় কার্ত্তিক মাস যে ব্যক্তি বীণা নিয়মে অতিবাহিত
করে সে সর্বধর্ম বহিস্কৃত ও তীর্যক যোনী প্রাপ্ত হয়ে থাকে=যে ব্যক্তি কার্ত্তিক ব্রত পালন করে না=সে ব্রহ্মঘাতী=গো ঘাতী=স্বর্ণ অপহারী ও সদা মিথ্যাবাদী হয়ে থাকে===
====================================
===দামোদর আরতি নিবেদনের নিয়ম==
ঘৃত বা তিলের তৈল যুক্ত কর্পূর মিশ্রিত প্রদীপ দ্বারা ভক্তি সহকারে ভগবানের চরণে চার বার=নাভি দেশে দুই বার=মুখ মন্ডলে তিনবার এবং সর্বাঙ্গে সাতবার ডানদিক থেকে প্রদীপ ঘুরিয়ে আরতি করুন=মাটির প্রদীপ একবারই ব্যবহারযোগ্য।
=====================================
==এ প্রসঙ্গে আর একটি কাহিনী আছে==
কোন এক মুষিকা=স্ত্রী ইঁদুর=কার্তিক বা দামোদর মাসে একাদশীর দিনে ঘটনাক্রমে অন্যের জ্বালানো প্রদীপের তেল খেতে গিয়ে তার মুখের সাহায্যে প্রদীপের শৈলত্যে জাগিয়ে দেয়=ফলে প্রায় নিভে যাওয়া প্রদীপের আলো আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠে এবং এই সুকৃতির ফলে তার বৈকুণ্ঠ গতি লাভ হয়=শাস্ত্রে আরো বলা হয়েছে=যদি কেউ প্রদীপ দেখাতে নাও পারে শুধুমাত্র প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত বিষ্ণু মন্দির দর্শন করেন তবে সেই বংশের কেউ নরকগামী হন না=
======জয় দামোদর ব্রত=====
ধর্মাত্মা ব্যক্তি দামোদর=কার্তিক=মাসে মৎস=মাংস ভক্ষন করবে না=রাজমাষ=বরবটি=শিম=কমলী শাক= পটল=বেগুন=মাছ মাংস এসব বর্জন করিবেন?
===============================
আর যারা ১মাস হবিষ্যান্ন করবেন তারা শ্রীশ্রী হরিভক্তিবিলাসে ১৩ অধ্যায়ের ১০-১৩ নং শ্লোকে হবিষ্যান্নের উপাদান উল্লেখ্য করা হয়েছে যে=নিম্নোক্ত উপাদানগুলো হবিষ্যান্ন তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে আতপ চাল=ঘী=কাওন=শ্যামা চাল=সৈন্ধব লবণ= ননীপূর্ণ গোদুগ্ধ=পাকা কলা=কাচা কলা এসব আর কাচা পাকা পেপে=আলু,মরিচ এসব পেতে পারবেন।গম=ফল কিন্তু ফলটা==স্কন্ধপুরাণের নাগরখন্ডে অবশ্যই কম বীজ পূর্ণ ফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে== হবিষ্যান্ন বর্জনীয় যেসব দ্রবগুলো=মুগ ডাল=তিল তেল=বেতো শাক=সাত্ত্বিক শাক মুলা=জিরা ও তেঁতুল!
===================================
দিনে ২বার সূর্য উদয়ের আগে হবিষ্যান্ন গ্রহণ করতে হবে।শরীরে তৈল সাবান কসমেটিকস ইত্যাদি ব্যবহার নিষেধ=এসব ব্যবহার না করলে এই একমাস তাহলে অন্তিমে পড় চিন্ময় দেহ প্রাপ্ত হবো।রাতে ফল দুধ কলা কাচাবাদাম ভাজা=এসব পেতে পারবেন=
==================================
প্রত্যকটা মাসের মধ্যে এই কার্তিক দামোদর মাসটা ভগবানের অতি প্রিয় মাস।সব মাসে যা করেন সমস্যা নাই=কিন্তু এই মাসে এই ব্রত পালন না করলে কেউ তাহলে তার মুক্তির আর কোন পথ নাই নরকযন্ত্রণা ভোগ করবে অনন্ত্যককাল।
===============================
দামোদর মাস বা কার্ত্তিক মাস করলে কি হয়?
এই দামোদর মাস কৃষ্ণভক্তের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ মাস।কৃষ্ণভক্তেরকরণীয় কিছু নিয়ম ও এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে দেওয়া হল।কার্তিক মাস সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ত্যাগের মাস বা দামোদর মাস।কার্ত্তিক মাস শ্রীহরির সেবার মাস=কার্তিক মাস বা দামোদর মাস=
=====================================
ভক্তগণের কাছে অতীব মাহাত্ম্যপূর্ণ একটি মাস।কেননা এই মাসে হরিভক্তির অনুকূল যে কোন কার্যই সহস্রগুণ অধিক ফলদান করে।ভক্তিভরে স্বল্প পরিমাণ ভগবদ্ সেবা সম্পাদন করলেও ভগবান শ্রীহরি অতিশয় প্রীত হন।বিশেষ করে কার্তিক মাসের অন্যতম একটি ভগবৎ সেবা হচ্ছে ভগবানের মন্দিরে বা গৃহমন্দিরে ভগবানের উদ্দেশ্যে দীপদান।এই সম্বন্ধে বিভিন্ন শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে=এই মাসে শ্রীহরি মন্দিরে দীপ দান করলে তাকে আর এই জন্ম মৃত্যুময় জগতে ফিরে আসতে হয় না।
====================================
শ্রীহরি=ভক্তিবিলাস গ্রন্থের ১৬শ বিলাস অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে=কার্তিক মাসে দেবালয়ে ভক্তিভাবে দীপদান=অখন্ড দীপাবলীর আয়োজন=বাড়িতে বাড়িতে দীপমালা সজ্জা ও আকাশ প্রদীপ দান করলে ভগবান শ্রীহরি প্রীতিলাভ করেন।নিয়ম সেবার কাল ও অক্ষয় পূণ্য অর্জনের মাস=এ মাসে সকলেরই নিরামিষ ভোজন করা উচিত=প্রতিদিন ভাগবতের প্রথম স্কন্ধের দামবন্ধন লীলী পাঠ করা উচিত=দিনের বেলা ভোগরাগ=প্রসাদ গ্রহণ করা উচিত=
====================================
স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে।
অব্রতেন ক্ষিপেদ যন্ত মাসং দামোদর প্রিয়ম। তির্যগমোনীমবাপ্ লোতি সর্ব ধর্ম বহিস্কৃতঃ।
স ব্রহ্মহ স গোঘ্নশ্চ স্বর্ণস্তেয়ী সদানুতী।
নকরোতি মুণিশ্রেষ্ঠ যো নঃ কার্ত্তিকে ব্রতম।
অর্থাৎ==হে মুণিশ্রেষ্ঠ নারদ=ভগবান শ্রী দামোদরের প্রিয় কার্ত্তিক মাস যে ব্যক্তি বীণা নিয়মে অতিবাহিত
করে সে সর্বধর্ম বহিস্কৃত ও তীর্যক যোনী প্রাপ্ত হয়ে থাকে=যে ব্যক্তি কার্ত্তিক ব্রত পালন করে না=সে ব্রহ্মঘাতী=গো ঘাতী=স্বর্ণ অপহারী ও সদা মিথ্যাবাদী হয়ে থাকে===
====================================
===দামোদর আরতি নিবেদনের নিয়ম==
ঘৃত বা তিলের তৈল যুক্ত কর্পূর মিশ্রিত প্রদীপ দ্বারা ভক্তি সহকারে ভগবানের চরণে চার বার=নাভি দেশে দুই বার=মুখ মন্ডলে তিনবার এবং সর্বাঙ্গে সাতবার ডানদিক থেকে প্রদীপ ঘুরিয়ে আরতি করুন=মাটির প্রদীপ একবারই ব্যবহারযোগ্য।
=====================================
==এ প্রসঙ্গে আর একটি কাহিনী আছে==
কোন এক মুষিকা=স্ত্রী ইঁদুর=কার্তিক বা দামোদর মাসে একাদশীর দিনে ঘটনাক্রমে অন্যের জ্বালানো প্রদীপের তেল খেতে গিয়ে তার মুখের সাহায্যে প্রদীপের শৈলত্যে জাগিয়ে দেয়=ফলে প্রায় নিভে যাওয়া প্রদীপের আলো আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠে এবং এই সুকৃতির ফলে তার বৈকুণ্ঠ গতি লাভ হয়=শাস্ত্রে আরো বলা হয়েছে=যদি কেউ প্রদীপ দেখাতে নাও পারে শুধুমাত্র প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত বিষ্ণু মন্দির দর্শন করেন তবে সেই বংশের কেউ নরকগামী হন না=
কার্তিক বা দামোদর মাসের গুরুত্ব আরোপ করতে গিয়ে শ্রীল প্রভুপাদ বলেন এই পবিত্র মাসে যারা ভগবান শ্রীদামোদরের উদ্দেশ্যে ভক্তিসহকারে ভগবানের আনন্দ বিধানের জন্য প্রদীপ নিবেদন করে তাদের অজ্ঞান অন্ধকার দূরীভূত হয়ে হৃদয়ে জ্ঞানপ্রদীপ প্রজ্জ্বলিত হয় এবং সমস্ত কলুষতা থেকে মুক্ত হয়।অবশেষে মানব জীবনের চরম উদ্দেশ্য কৃষ্ণভক্তি লাভ করে=গোলোকে গতি লাভ হয়।
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে"
"হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে"
"হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে"
Hare Krishna
উত্তরমুছুন