বৈষ্ণব সার্বভৌম সিদ্ধ শ্রীল জগন্নাথ দাস বাবাজী মহারাজের উপদেশামৃতঃ ১) কখনো বিষয়ীর অন্নগ্রহণ করিও না, গ্রহণ করিলে বিষয়ী হইয়া যাবে। ২) সাংসারিক অমঙ্গলকে ভগবানের দয়া বলিয়া জানিবে। ৩) 'সেবা করিয়াছি' বলিয়া ঢাক পিটাইয়ো না, তখন আর ইহাকে 'সেবা' বলা যাইবে না। ৪) গৌরধাম কৃপা করিলেই ব্রজবাস হয়। ৫) কখনো মর্কটবৈরাগীর (বিরক্তবেষী কপট সাধু) সহিত মিশিও না। ৬) অন্তরে ঐকান্তিক কৃষ্ণসেবার জন্য অনুরাগ না আসিলে বাহিরে বেষগ্রহণ করিলে তাহাকে পরমহংস বলা যায় না। ৭) নির্জনভজনের ছলনায় অলস হইও না। ৮) অপরাধের সহিত লক্ষ লক্ষ মালা টানিবার চেয়ে বৈষ্ণবসেবার জন্য বাগানে চাষ ও গাছে জল দেওয়া অধিক মঙ্গলজনক।
শ্রীল প্রভুপাদের গল্পে উপদেশ ~ এক গ্রামে এক গরীব বুড়ি বাস করত। জ্বালানীর অভাবে সে কিছু দূরে এক বনের মধ্যে ঢুকল। শুকনো ডালপালা জোগাড় করে একটি বড় বোঝা বাঁধল। বোঝাটি একটু ভারী হওয়ার জন্য কোনভাবে বুড়ি তা নিজের মাথায় তুলতে পারল না। বার বার চেষ্টা করেও বিফল হল। সাহায্য করার জন্য কাছাকাছি কোন লোকজনকেও সে দেখতে পেল না। তখন সে ভগবানকে ডাকতে লাগল-“হে ভগবান, ঘরে নাতি-নাতনিরা না খেয়ে আছে। আমি জ্বালানি নিয়ে গেলে ভাত রান্না হবে। হে দয়াময়, কৃপা করে এই বোঝাটি তুলে দাও। হে হরি, বেলা গড়িয়ে যাচ্ছে আমাকে বোঝাটি তুলে দাও।” বুড়িমার কাতর মিনতি শুনে হঠাৎ এক সুন্দর বালক এসে হাজির হল।” আমারও সময় নেই, শীগগির বলো- কি করতে হবে আমাকে?” বালকটি বলল। বুড়িমা বলল “মাথায় বোঝাটি তুলে দাও।” অমনি বালকটি বোঝাটি তুলে দিয়ে বলল- “আর কি করতে হবে ?” উত্তরে বুড়িমা বলল-“ না বাবা, আর কিছু চাই না। তক্ষুনি ছেলেটি হাওয়ায় অদৃশ্য হয়ে গেল। বুড়ি কাউকে দেখতে না পেয়ে ঘরের দিকে বোঝা মাথায় চলতে লাগল। । হিতোপদেশ। বর্তমান যুগে অধিকাংশ মানুষই পরমেশ্বর ভগবানকে নিজেদের চাকর বা দাস বানাতে চায়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন